বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

প্রতারণার চতুর্থ পর্ব (দ্বিতীয় অংশ)

টাকাটা ক্যাশিয়ারের হাতের জমা হওয়ার পর আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে আজকে শুটিং হবে না এই এই সমস্যা। আপনি আজকে চলে যান আগামী ২০ তারিখ আসবেন আপনাকে দেখি আরো ভালো চরিত্র দেওয়া যায় কিনা। সেখানে খরচ আর একটু বেশি হবে চরিত্রটা সেরকম হবে আপনি 20 তারিখ আসার সময় ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন ঠিক আছে আপনি আসেন। এইভাবে তারিখ পাল্টাবে টাকার এমাউন্ট পাল্টাবে শুটিংয়ের সময় কিন্তু আর ফিক্সড হবে না আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন পকেট শূন্য হয়ে যাবে পরে আপনি আর যাবেন না।

(এগুলো কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ প্রতারক চক্র করে থাকে)
আমাদের সবারই জানা হয়ে গেছে যে নতুন লেখক বা শিল্পী হতে হলে প্রথমে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন হয় যেমন একটা বই প্রকাশ করতে হবে তার জন্য টাকা লাগবে নতুন লেখকের বই কোন প্রকাশক মাগনা প্রকাশ করবে না ।তাই প্রথমে একটা বই প্রকাশ করতে যতগুলো টাকা দরকার সব টাকা লেখককে দিতে হবে,বিনিময়ে লেখক একশতটি বই পাবে ।লেখকের সাথে প্রকাশকের আর কোন লেনদেন সম্পর্ক নাই। কিছু কিছু প্রকাশক এমন চিন্তা ভাবনা নিয়ে ব্যবসা করতে আসছে ১০০ পিস বই লেখককে দেয়ার পর তার লাভ কি পরিমান থাকবে সে হিসাব করে বই প্রকাশ করে কিন্তু বাকি যে বইগুলো প্রকাশ করার কথা বলে সেগুলো মোটেও প্রকাশ করে না বিধায় নতুন কোন লেখক সহজেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।যেমন আমিও ২০১০ সালের একটা বই প্রকাশ করেছিলাম। প্রকাশক আমাকে ১০০ পিস বই দিয়ে তার দায় দায়িত্ব শেষ করেছে কিন্তু চুক্তি ছিল ১০০০ টি বই প্রকাশ করবে কিন্তু করেনি। চুক্তিপত্রে প্রকাশক চেয়েছিল গ্রন্থ সত্য প্রকাশক দিয়ে নিজের রাখতে আমি কিন্তু গ্রন্থসত প্রকাশক দেয়নি। 

যদি এই রূপ হয় নতুন লেখক ১০০টি বই দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে?


আমার এই লেখা দ্বারা যদি কেউ বা কোন গোষ্ঠী কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কোন দল বা গুষ্টিকে ছোট করার জন্য নয় শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক প্রতারক থেকে এই উদীয়মান স্বপ্ন দ্রষ্টাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা মাত্র।



লেখাটি পড়ে যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

কোন মন্তব্য নেই: